আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনি নিহত
পবিত্র রমজান মাসে রক্তাক্ত হলো আল-আকসা মসজিদ। পূর্ব জেরুজালেমে এই মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে আরও সহিংসতা বাড়ার উদ্বেগ বেড়েছে। আজ শনিবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
আজ যে ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তার নাম মোহাম্মদ খালেদ আল-কোসায়বি। ২৬ বছর বয়সী এই যুবক দক্ষিণ ইসরায়েলের বেদুইন আরব গ্রাম হুরার বাসিন্দা।
ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, ইসরায়েলের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসার চেইন গেইটের কাছে ওই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তি একজন পুলিশ কর্মকর্তার বন্দুক ছিনিয়ে নেয় ও গুলি করতে থাকে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফিলিস্তিনিরা বলছে, আল-আকসায় প্রবেশের সময় এক নারীকে বাধা দেয় ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এর প্রতিবাদ করায় মোহাম্মদ খালেদ আল-কোসায়বিকে লক্ষ্য করে গুলি করে দখলদার বাহিনী। ওই ফিলিস্তিনি নাগরিককে লক্ষ্য করে ১০টির বেশি গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলে দাবি করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এদিকে, ঘটনার ঘণ্টাখানেক পরেও আল-আকসার চত্বরে রক্তের ছাপ দেখা যায় বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। গণমাধ্যমটি বলছে, রমজান উপলক্ষে আল-আকসা মসজিদে নিজেদের সৈন্য বাড়িয়েছে ইসরায়েল। মসজিদ এলাকায় কমপক্ষে ১০ হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে তারা। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজে মুসলিম ধর্মালম্বীদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে জড়ো হয়েছিল দুই লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
আল-আকসা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী কিশোর নুরউদ্দিন বলেন, ‘একজন নারীকে মসজিদে প্রবেশে বাধা দিচ্ছিল ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় আল-কোসায়বি।’
ওই নারীর সঙ্গে নিহতের কী সম্পর্ক তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফিলিস্তিনের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, নিহত আল-কোসায়বি একজন চিকিৎসক ছিলেন। সম্প্রতি রোমানিয়া থেকে মেডিসিন নিয়ে পড়ে দেশে ফেরেন তিনি।