সরকারের পতন অনিবার্য : মির্জা ফখরুল
বর্তমান সরকারের পতন অনিবার্য, বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জুলুমের পথ থেকে অবিলম্বে সরে আসুন। নইলে গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করার জন্য যুগে যুগে সকল স্বৈরাচারের মতোই বর্তমান সরকারের পতন অনিবার্য।’ আজ রোববার (২ এপ্রিল) রাতে এই বিবৃতি দেন তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিএনপির উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। ওই কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশি হামলা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, নেতাকর্মীদের আহত করা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’ এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দেওয়ার পর দেশকে একদলীয় দুঃশাসনের চরম অন্ধকারে নিপতিত করতে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন ও ভোটারবিহীন সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ও ভাঙচুর চালাচ্ছে। শেখ হাসিনার দুঃশাসনের প্রকোপ ক্রমশ বিপজ্জনক রূপ ধারণ করছে। ভোটারবিহীন সরকার আইনের সীমানার মধ্যে না থেকে চরম সীমালঙ্ঘন করে যাচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্রের বিধিবিধান ও নিয়মনীতি তোয়াক্কা করে না বলেই বিএনপিসহ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যেকোনো শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশসহ মত প্রকাশে নগ্নভাবে বাধা প্রদান করছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ বলেই দেশে মানবতা, সভ্যতার চিহ্নও ক্রমাগতভাবে মুছে যাচ্ছে। দেশে এখন চলছে আদিম অরণ্যের আইন। বিকৃত দুঃশাসনে জনজীবনে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজমান।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘দুঃশাসনের শৃঙ্খলভঙ্গের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ জনগণের ওপর সরকার পুলিশি শক্তিকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছে। এই কারণেই রাষ্ট্র ও সমাজে বিরাজমান রয়েছে চরম অস্থিরতা ও নৈরাজ্যকর পরিবেশ। সরকারি মদদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন আইনানুযায়ী কাজ করতে পারছে না। মনে হয়, তারা বিরোধী দল দমনে ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে গেছে।’