জনগণের বাক-স্বাধীনতা হরণ করতে চায় সরকার : মন্টু
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, ‘বাংলাদেশে হরিলুটের রাজত্ব কায়েম করেছে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকার। সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে, যার কোনো মামলা হয়নি, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অথচ আমরা দেখতে পাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকদের উপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে দেশের জনগণের বাক-স্বাধীনতা হরণ করতে চায় সরকার। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ বিরোধী মতের উপর সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে গণফোরাম চত্বরে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দ্রুততম সময়ে পূনর্বাসন ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে গণফোরাম-বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।
মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং অবিলম্বে পূনর্বাসন করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে হবে। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া জনগণের কল্যাণ হয় না, এই সরকার জনগণের জন্য কল্যাণকর সরকার নয়। তাই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।’
গণ-অবস্থান কর্মসূচির সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী বলেন, ‘এদেশের মানুষ দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন চায়না। ২০১৪ সনের ভোটার বিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সনের নৈশভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জনগণের গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের উপর এদেশের জনগণের কোন আস্থা নেই। তাই জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করতে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের লড়াই চলবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে হাজার হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এদেশের বস্ত্র মার্কেট ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিন আব্দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ সকল ব্যবসায়ী ভাইদের ক্ষতিপূরণ অতি শীঘ্রই সরকারকে দিতে হবে এবং তাদের ব্যবসা করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এই অগ্নিকাণ্ডে সঠিক তদন্ত করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অবস্থা এমনিতেই নাজেহাল এর ভেতর রমজান মাসেও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যেভাবে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে তাতে জনগণ না খেয়ে রোজা রাখছে।’
আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি- অ্যাডভোকেট একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা হাসান, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. নাছির হোসেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া, ছাত্র সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলুসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আতিকুর রহমান লিটন, প্রেসিডিয়াম সদস্য- আবু তালেব সরদার, গোলাম মোস্তফা, নাজমা আক্তার, জসিম উদ্দিন, কামাল আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মো. ইলিয়াস সরদারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।