নিবন্ধনের জন্য ইসির সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২ রাজনৈতিক দল
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে আবেদন করা ৯৩ রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছে ১২টি। এখন চলবে এসব দলের মাঠপর্যায়ের যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী জুনের মধ্যেই উত্তীর্ণ দলগুলোর নিবন্ধন চূড়ান্ত করবে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাওঁয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আজকে কমিশনের অনানুষ্ঠানিক সভা হয়েছে। এতে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে আলোচনা হয়। নতুন করে নিবন্ধন পেতে ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। এই আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করেছে। ৯৩টি আবেদনের মধ্যে ১৪টি আবেদন নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ছিল না। এ ছাড়া দুটি আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। অর্থাৎ, প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ১৬টি আবেদন বাতিল হয়ে যায়। অবশিষ্ট ৭৭টি আবেদনের মধ্যে আমরা তাদের চাহিত কাগজপত্র ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলেছিলাম। ১৯টি দল ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে পারেনি। এ ছাড়া প্রেরিত চিঠি দুটির ঠিকানা ঠিক না থাকায় ফেরত এসেছে।’
জাহাংগীর আলম আরও বলেন, ‘১০টি দল সময় আবেদন করেছিল। সেটা নামঞ্জুর করা হয়েছিল। এভাবে ৩১টি আবেদন পরবর্তীতে বাতিল হয়। সবশেষে থাকে ৪৬টি। এই ৪৬টি আবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, নীতিমালা আইন এবং চাহিত তথ্যের সঙ্গে তারা যা দিয়েছে, তা পূরণ না করায় ৩৪টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। ফলে আর বাকি থাকে ১২টি দল। তারা যে তথ্য দিয়েছে, তা মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এরপর কমিশন তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবে।’
কবে চূড়ান্ত হতে পারে, কারও সুপারিশে এই বাছাই হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি আমাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে এই ১২টি দলের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে কারণে সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় অফিস আছে কিনা, ইত্যাদি যাচাই করা হবে। আমরা বলেছি, ১৫ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। রোডম্যাপ অনুযায়ী, জুনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।’
যাচাই-বাছাইয়ের পর কয়টা টিকবে বা টিকবে না, সেটা বলতে পারবেন না বলে জানান জাহাংগীর আলম। বলেন, ‘এখন উপজেলা পর্যায়ে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকা লাগবে, এখন সেটা যাচাই করা হবে। এক-তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস আছে কি না, সেই রিপোর্ট আসার পর সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।’
প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকল যে ১২ দল
এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।