সত্যিই কি মায়ের নামে সম্পত্তি রেখে রক্ষা পেলেন হাকিমি?
মা—ই তার শক্তি, অনুপ্রেরণার উৎস। নিজের ভালো-খারাপ সময়ে মায়ের আচল খুঁজে নেন। মাকে ঘিরেই যেন ছেলেটির দুনিয়া। বলা হচ্ছে মরক্কোর ফুটবল তারকা আশরাফ হাকিমির কথা। ফের দুঃসময়ে না কি মায়ের কারণেই রক্ষা পেলেন এই তারকা ফুটবলার। মাঠের দুর্দান্ত খেলা হাকিমি মাঠের বাইরেরও যে এতটা চমক দেখাতে পারে, তা আঁচ করতে পারেনি কেউই।
গতকাল শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী সাম্প্রতিক সময়ে মরক্কোর তারকা ফুটবলার আশরাফ হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই ধর্ষণ মামলার পরেই হাকিমিকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্ত্রী হিবা আবুক, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
ডিভোর্সের আবেদনের সঙ্গে হিবা আবুক নাকি হাকিমির অর্ধেক সম্পত্তির মালিকানাও দাবি করেছেন। এরপরেই শোনা গেল অন্য তথ্য। মার্কা জানিয়েছে, কোর্ট হাকিমির সব কাগজপত্র দেখে জানিয়ে দেয় কাগজে-কলমে হাকিমি একজন হতদরিদ্র মানুষ। তার কোনো সম্পত্তি নেই এবং ব্যাংকেও নাকি কোনো অর্থ নেই। এমন কথা যদি সত্যিই হয় তাহলে আবুকের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ারই কথা।
কারণ তারকা এই ফুটবলারের আয় যে কম নয়। লিগ ওয়ানে মাসে প্রায় ১ মিলিয়ন ইউরো বেতন পান এই মরোক্কান ফুটবলার। তবে কেন তিনি হতদরিদ্র হবেন? শোনা যাচ্ছে, নিজের নামে নাকি কোনো অর্থসম্পদই রাখেননি বিশ্বের অন্যতম এই সেরা ডিফেন্ডার। সব নাকি রেখেছেন তার মায়ের নামে। এমনকি তার বেতনের মোটা এক অংশও নাকি চলে যায় তার মায়ের অ্যাকাউন্টে। আর বাকি অংশ রাখেন নিজের জন্য। বেতনের পাশাপাশি বাড়ি-গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসও নাকি নিজের নামে নিবন্ধন করেননি হাকিমি। সবই তার মায়ের নামে। যদিও বিষয়টি পুরোপুরি সত্যি কি না সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানা যায়।
এর আগে গত ৩ মার্চ (শুক্রবার) স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে খেলা এই ডিফেন্ডারকে গত ২ মার্চ নান্তেসের প্রসিকিউটররা অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকেছিলেন। সে সময় ২৪ বছর বয়সী এই মরোক্কান ফুটবলারকে ধারাবাহিকভাবে জেরার মুখে পড়তে হয়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২৪ বছর বয়সী এক নারী হাকিমির বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। প্যারিসের বাসায় ডেকে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। দেশটির সংবাদমাধ্যম লে প্যারিসিয়নকে হাকিমির আইনজীবী ফ্যানি কোলিন জানান, ‘তিনি কোনো ভুল কিছু করেননি। অভিযোগকারী নারী মিথ্যা কথা বলছে। তাই বিচার প্রক্রিয়াতে হাকিমি শান্ত আছেন এবং নির্দোষ বলে প্রমাণিত হবেন।’
এর আগে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, হাকিমির স্ত্রী হিবা আবুকে একজন অভিনেত্রী ও মডেল। ছুটি কাটাতে সন্তানকে নিয়ে তিনি বর্তমানে দুবাই ছিলেন। এই সুযোগে প্যারিসের বাড়িতে ওই নারীকে আমন্ত্রণ জানান হাকিমি। তবে সপ্তাহখানেক পর প্যারিসের পুলিশের কাছে ওই নারী অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ওই নারীকে আমন্ত্রণ জানান হাকিমি। পরে যৌন মিলনে সম্মতি না দেওয়ায় তাকে মারধরের পর ধর্ষণ করে এই পিএসজি তারকা ফুবটলার।