হরমুজ প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন : দাবি তেহরানের, অস্বীকার ওয়াশিংটনের
পারস্য উপসাগরে অবস্থিত হরমুজ প্রণালী। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ এটি। কারণ, এই পথ দিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ জ্বালানি তেল রপ্তানি হয়। এবার হরমুজ প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন প্রবেশ করেছে বলে দাবি করছে ইরান। তাদের মতে, হরমুজ প্রণালী ছাড়তে মার্কিনি সাবমেরিনকে বাধ্য করা হয়েছে। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করছে যুক্তরাষ্ট্র। তদের দাবি, ওই অঞ্চলে কোনো সময়ই তাদের সাবমেরিন যায়নি। আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে দেশটির নৌবাহিনীর কমান্ডার শাহরাম ইরানি বলেন, ‘উপসাগরে মার্কিন সাবমেরিন প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ধাওয়া করে ইরানের নৌবাহিনী।’ আর যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ফিফথ ফ্লিট এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে জানিয়েছে তারা।
শাহরাম ইরানি বলেন, ‘মার্কিন সাবমেরিনটি যখন পানির নিচে যাচ্ছিল, তখন এটি আমাদের খুব কাছে চলে এসেছিল। আমাদের সাবমেরিন ফাতেহ এটি শনাক্ত করে ও নিজেদের কৌশল অবলম্বন করে। পরে, হরমুজ থেকে সাবমেরিনটি বের হয়ে যায়। এটি আমাদের জলসীমায়ও প্রবেশ করেছিল। তবে, সতর্ক করার পর এটি তাদের পথ পরিবর্তন করে।’
ইরানের নৌবাহিনীর এই কমান্ডার বলেন, ‘মার্কিন সাবমেরিনটি তাদের সর্বোচ্চটি দেখিয়েছে। তাদের সর্বোত্তম পন্থা অবলম্বন করেছিল। শনাক্ত না হয়ে চুপিসারে এটি হরমুজ প্রণালী পার করতে চেয়েছিল। বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষকে জানাব। তাদের এই আচরণ আমাদের সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে।’
বাহরাইনে ঘাঁটি করা যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ফিফথ ফ্লিট ইরানের এই দাবিকে অস্বীকার করে এটিকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য বলে জানিয়েছে। ফিফথ ফ্লিটের কমান্ডার টিতোথি হওকিন্স বলেন, ‘হরমুজ প্রণালীর দিকে আমাদের কোনো সাবমেরিন আজ কিংবা কোনোদিনই যায়নি। তেহরানের এই বিভ্রান্তি আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতায় অবদান রাখে না।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছিল, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি গাইডেড মিসাইল সাবমেরিন মধ্যপ্রাচ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফিফথ ফ্লিটকে সহায়তা করতেই সাবমেরিনটি মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হয়েছে।