পটুয়াখালীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৪
পটুয়াখালীর দশমিনায় ঝড়ের কবলে পরে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বর ও বরের মাসহ মোট চার জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনও। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, নৌপুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীতে এ ঘটনা।
বরের স্বজনরা জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদারের সাথে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। গত মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার বিকেলে নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে ভোলার চরবোরহান উদ্দিন থেকে ট্রলারযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গিয়ে ঝড়ের কবলে পরে তেঁতুলিয়া নদীতে ডুবে যায়।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় (বর) রাব্বি হাওলাদারের ফুপু লিপি বেগম (৩০) মারা গেছেন। লিপি বেগম উত্তর রনগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী।
এছাড়া আরও চারজন আজ সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ আছে। নিখোঁজরা হলেন গুলি আউলিয়াপুর এলাকার মনির হাওলাদারের ছেলে (বর) রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তার মা স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০)। উত্তর রনগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) এবং উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮)।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) পটুয়াখালী ও বরিশাল থেকে আরও দুটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট তল্লাশিতে কাজ করছে। এখনও অভিযান চলছে। নিখোঁজ চার জনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।