ভিভ রিচার্ডসের ম্যাককালাম-বন্দনা
ভিভ রিচার্ডসের দ্রুততম টেস্ট শতকের রেকর্ড ভেঙে খুশি হয়েছেন ঠিকই, তবে বিব্রতও কম হননি ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। রিচার্ডস কিন্তু এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং-কিংবদন্তির মতে, রেকর্ডটা যোগ্য ব্যক্তির হাতেই গেছে। বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা ম্যাককালামকে ক্রিকেটের এক অসাধারণ দূত আখ্যা দিয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।
১৯৮৬ সালে অ্যান্টিগা টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫৬ বলে দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়েছিলেন রিচার্ডস। সোয়া বছর আগে, ২০১৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবুধাবি টেস্টে ৫৬ বলেই শতক করে রিচার্ডসের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। শনিবার ক্রাইস্টচার্চে জীবনের শেষ টেস্ট খেলতে নেমে ৫৪ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে প্রায় তিন দশক ধরে টিকে থাকা রেকর্ডটা ভেঙে দিয়েছেন ম্যাককালাম।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের পরামর্শদাতার দায়িত্বে থাকা রিচার্ডস এখন দুবাইয়ে। সেখানেই ম্যাককালামের কীর্তির কথা জানতে পেরে গণমাধ্যমের কাছে ক্যারিবীয়-কিংবদন্তির প্রথম প্রতিক্রিয়া, ‘এই সুযোগে ম্যাককালামকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ দিন।’ তারপরই তিনি মেতে উঠেছেন ম্যাককালাম-বন্দনায়, ‘অনেক বছর ধরে আমি তোমার ভক্ত। এমন দুর্দান্ত অর্জনের জন্য তোমাকে বাহ্বা জানাই। যদি এমন কোনো ব্যক্তিকে বেছে নিতে বলা হয় যে আমার জীবনের অর্জনগুলো ছাড়িয়ে যেতে পারবে, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাকে বেছে নেব। তুমি ক্রিকেটের একজন দুর্দান্ত দূত। খেলাটাকে সৌন্দর্যে ভরে তুলতে তোমার অনেক অবদান।’
ম্যাককালামের মতো রিচার্ডসও দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়ার সময় দলের অধিনায়ক ছিলেন। দলের প্রয়োজনেই দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানালেন রিচার্ডস, ‘মনে হয় আমার নিজের শহরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেটা করেছিলাম। আপনি কখনোই নিজেকে অমন একটা কীর্তি গড়ার জন্য তৈরি রাখতে পারবেন না। তবে ঐ বিশেষ সময়ের পরিস্থিতি এমন কীর্তিই দাবি করেছিল। নিজের শহরের দর্শকের সামনে এমন অর্জন সত্যিই অসাধারণ ব্যাপার। আমি তো মনে করি কীর্তিটার কথা অনেক দিন লোকে মনে রেখেছে।’