দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই থাকবে স্বেচ্ছাসেবী : তাপস
দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই গঠন করা হবে স্বেচ্ছাসেবী দল। স্কাউটসে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা ও রাজধানী মার্কেটগুলোতে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা থাকবে স্বেচ্ছাসেবী দলে। প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবী দলে থাকবে অন্তত ২০০ সদস্য। যে কোনো দুর্যোগের পরেই কাজ করবে তারা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তাপস।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম ২০০ সদস্য নিয়ে আমরা স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করতে চাই। যেকোনো দুর্যোগ পরবর্তী তাৎক্ষণিকভাবে এসব দল যেন প্রস্তুত থাকে, সাড়া দিতে পারে—আমরা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। এসব দলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউটসে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা থাকবে। তাদের বয়স সীমা থাকবে ১৬ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। প্রত্যেক ওয়ার্ডে যেসব মার্কেট রয়েছে, সেসব মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষীরাও এ দলে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে, তাদের বয়সসীমা শিথিল করা হবে। আগামী ৩০ মে এর মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডেই এসব স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করা হবে।’
স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ ও মহড়া আয়োজনে ডিএসসিসির বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, আমরা একটা নির্দেশিকা প্রণয়ন করব। সে নির্দেশিকার আলোকে আমরা বাৎসরিক সূচি প্রণয়ন করব। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা প্রতি তিন মাসে এবং পরবর্তীতে প্রতি মাসেই স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও মহড়ার আয়োজন করব। সেজন্য আগামী বাজেট থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুর্যোগ মোকাবিলা খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখবে।’
দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা এরইমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক স্থায়ী কমিটি গঠন করেছি। কমিটির পর্যালোচনা ও সুপারিশ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যও বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ রাখা হবে। যাতে করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আমরা মানবিক কারণেও দাঁড়াতে পারি। এছাড়াও আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দক্ষিণ সিটিতে একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছি। আগামী জুনের মধ্যেই এটি চালু হবে।’
এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪২টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাউজক। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘রাজউক ইতোমধ্যে ৪২ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং ১৯৭ ভবন সংস্কারের সুপারিশ করেছে। এ তালিকা আগামী সাতদিনের মধ্যে রাজউক আমাদেরকে হস্তান্তর করবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সরকারি বা বেসরকারি হোক না কেন, তা কতদিনের মধ্যে ভেঙে ফেলা যায় সে বিষয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব।’