ডি ভিলিয়ার্স ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে এবি ডি ভিলিয়ার্স গড়েছিলেন ওয়ানডের দ্রুততম অর্ধশতক ও শতকের নতুন রেকর্ড। রোববার আবারও জোহানেসবার্গ দেখেছে ডি ভিলিয়ার্স ঝড়। টি-টোয়েন্টির দ্রুততম শতকের রেকর্ডও ভেঙে দেবেন কি না, সেই আলোচনাও উঠতে শুরু করেছিল ক্রিকেট বিশ্বে। শেষপর্যন্ত তেমনটা না হলেও ডি ভিলিয়ার্স ঝড়ে উড়ে গেছে ইংল্যান্ড। ৯ উইকেটের বিশাল জয় দিয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও খুব একটা সহজ না। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স জ্বলে উঠলে সেটা যে খুবই নগণ্য হয়ে যায়, তা খুব ভালোমতো দেখা গেছে জোহানেসবার্গে। চার-ছয়ের ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে প্রথম সাত ওভারের মধ্যেই ১০০ রান জমা করে ফেলেছিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার ডি ভিলিয়ার্স ও হাশিম আমলা। অর্ধশতক পূর্ণ করতে ডি ভিলিয়ার্স খেলেছেন মাত্র ২২টি বল। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাজঘরে ফেরার আগে ডানহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৭১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। মেরেছেন ছয়টি করে চার ও ছয়।
ডি ভিলিয়ার্সের পাশাপাশি দারুণভাবে জ্বলে উঠেছিলেন আরেক প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলাও। উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রান জমা করে দলের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছিলেন তাঁরা। নবম ওভারে ডি ভিলিয়ার্স সাজঘরে ফিরলেও জয় তুলে নিতে কোনো অসুবিধাই হয়নি স্বাগতিকদের। ১৪.৪ ওভার ব্যাটিং করেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২ রান সংগ্রহ করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৮ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন আমলা। ২১ বলে ২২ রানের ইনিংস এসেছে ফাফ ডু প্লেসির ব্যাট থেকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলারের ৫৪, ওয়েন মরগানের ৩৮ ও জো রুটের ৩৪ রানের ইনিংসের সুবাদে স্কোরবোর্ডে ১৭১ রান জমা করেছিল ইংল্যান্ড।