ইসির চিঠি নিয়ে যা বললেন আজমত উল্লা
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মো. আজমত উল্লা খানকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই চিঠিতে কেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, সে ব্যাখ্যা দিতে ব্যক্তিগতভাবে ইসিতে উপস্থিত হতে বলা হয় আজমত উল্লাকে। এবার চিঠি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই মেয়র পদপ্রার্থী। তার মতে, নির্বাচনের কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি তিনি।
আজ শনিবার (৬ মে) গাজীপুরের টঙ্গীর নিজ বাসভবনে এসব কথা বলেন আজমত উল্লা।
আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন আচরণবিধি-২০১৬ এর দুটি ধারা উল্লেখ করে আমাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমার দ্বারা কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। সর্বশেষ যে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে আমি পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তাদের আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমি কি আমার নির্বাচনী এলাকার বাইরে কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবো কিনা। উনারা আমাকে বলেছেন, নির্বাচনী এলাকার বাইরে এটা করা যাবে। আমি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আমার অবস্থান তুলে ধরবো। নির্বাচন কমিশনে হয়তো একটি ভুল ইনফরমেশন গিয়েছে।’
গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মাকে স্বাগত জানিয়ে আজমত উল্লা বলেন, ‘আমি যে কোনো প্রার্থীকে স্বাগত জানাই। মিডিয়া ছাড়া জনগণের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। যারা নির্বাচনে অংশ নিবে তাদের সবাইকে আমি প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি। আমি কাউকে ছোট করে দেখিনা, বড় করেও দেখিনা। মানুষ উন্নয়নের জন্য ভোট দেবে। মানুষ দুর্নীতিমুক্ত একটি সিটি করপোরেশন গড়তে ভোট দিবে।’
ক্ষতিপূরণের টাকা জনগণকে দেওয়া হয়নি জানিয়ে এই মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, ‘মহানগরীর ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তাঘাট করা হচ্ছে। সরকার গাজীপুর সিটিতে একটি প্রকল্পে তিন হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল, যেখানে ক্ষতিপূরণের জন্য ছিল এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা। কিন্তু, ক্ষতিপূরণের সেই টাকাটা জনগণকে দেওয়া হয়নি। সাবেক মেয়র সেখান থেকে ৭২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন।’
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৮ মে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর পরের দিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শুরু করবেন। এবারের গাজীপুরের নির্বাচন হবে ইভিএমে। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকবে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা, যার মাধ্যমে পুরো নির্বাচনকে মনিটরিং করা হবে।