ক্রিকেটার শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিচার শুরু
ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নির্যাতনের মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো।
আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫-এর বিচারক তানজিলা ইসমাইল এ অভিযোগ গঠন করেন।
এদিন দুজনকে দোষী কিংবা নির্দোষ প্রশ্ন করলে তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
শাহাদাতের স্ত্রী আজ জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন এবং শাহাদাত হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান তাঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শাহাদাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, স্ত্রী নিত্যকে গত বছরের ৪ অক্টোবর ভোরে দিবাগত গভীর রাত সাড়ে ৩টায় মালিবাগের পাবনা গলিতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি জবানবন্দি দিয়েছে ভিকটিম হ্যাপি।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ক্রিকেটার শাহাদাত তাঁর বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি জিডি করেন। এরপর একই দিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে হ্যাপি অভিযোগ করেন শাহাদাতের বাসায় তাঁর উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।
পরে পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একই সঙ্গে খন্দকার মোজাম্মেল হক নামের ওই এলাকায় বসবাসকারী এক সাংবাদিক শিশু নির্যাতনের দায়ে শাহাদাতের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে শাহাদাতকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।