যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় যুদ্ধাপরাধের তিন মামলায় ২০ বছর করে ৬০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলিম উদ্দিন খানকে (৭৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক ঝুঁটন কুমার বর্মণ সন্ধ্যায় এ খবর নিশ্চিত করেছেন। মো. আলিম উদ্দিন খানের বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার সাধুয়া গ্রামে।
আজ বিকেল ৬টার দিকে মো. আলিম উদ্দিনকে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত পরিদর্শক বলেন, পাগলা থানা পুলিশ যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি আলিম উদ্দিন খানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বরাত দিয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, আলিম উদ্দিন খান ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকায় লিপ্ত ছিলেন। তিনি তাঁর সহযোগী ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক, সামসুজ্জামান কালাম, আব্দুল খালেক, বাদশা, খলিলুর রহমান মীরদের নেতৃত্ব দিয়ে গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারি, টাংগাব, দত্তেরবাজার ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় ২০১৪ সালে সাধুয়ার গ্রামের আফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে তাঁর ও তাঁর সহযোগীদের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করেন। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল ট্রাইবুনাল তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার পর থেকে আলিম উদ্দিন খান পলাতক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের অপরাধে মো. আলিম উদ্দিন খানকে তিন মামলায় ২০ বছর করে মোট ৬০ বছরের সাজা দেন। অপর চারজনকে ২০ বছর এবং তিন জনকে আমৃত্য কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
ওসি আরও বলেন, তিন মামলায় ২০ বছর করে সাজাপ্রাপ্ত মো. আলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।