চোরাই স্বর্ণ কেনার অভিযোগে ব্যবসায়ীকে আটক করায় অবরুদ্ধ পুলিশ
নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিবাজার স্বর্ণপট্টি এলাকায় চোরাই স্বর্ণ কেনার অভিযোগে বিপ্লব দাস নামে এক ব্যবসায়ীকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আটক করায় পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। কালিরবাজার স্বর্ণপট্টি নওয়াব প্লাজার রূপসা অলঙ্কারের দোকানে রোববার (৭ মে) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ নগরীর পাইকপাড়ায় নিজের ঘরে হাত ও পায়ের রগ কেটে এক নারীকে খুন এবং খুনের পর স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় চোরাই স্বর্ণ কেনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিপ্লব দাসকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি পুলিশ।
রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজার স্বর্ণপট্টি নওয়াব প্লাজার রূপসা অলঙ্কারের দোকানে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ব্যবসায়ীদের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, চুরি হওয়া স্বর্ণ সঞ্জয় দাস নামে এক আসামি রূপসা অলঙ্কার নামে দোকানের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব দাসের কাছে বিক্রি করে। খবর পেয়ে স্বর্ণের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাধা দেয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী বিপ্লব দাস স্বর্ণপট্টি এলাকার এসি ধারা রোডের নওয়াব প্লাজার রূপসা অলংকার নামের স্বর্ণের দোকানের মালিক।
স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানান, স্বর্ণপট্টিতে আটকের জন্য গোয়েন্দা পুলিশ অভিযানে গেলে বিপ্লব দাসের দোকান থেকে একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল এবং একটি চেইন পাওয়া যায়। বিপ্লব ডিবি পুলিশকে জানায়, এই স্বর্ণালংকার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি কিনেছেন। তিনি জানতেন না, এগুলো চোরাই জিনিস। এমন সময় বিপ্লবের সাথে তর্ক হলে ডিবির এক সদস্য তাকে চর মারে। এতে মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা খেপে যান। এ সময় ডিবি পুলিশের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ডিবি পুলিশের সদস্যরা মার্কেটের ভেতর অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। যদিও পড়ে ব্যবসায়ীদের নিবৃত্ত করে বিপ্লব দাসকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এ বিষয়ে জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আল মামুন জানান, পাইকপাড়ায় নুরজাহান নামে এক নারীর খুনের ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের শিকার হওয়া নারীর বাসা থেকে যেসব স্বর্ণালংকার খোয়া গিয়েছিল তাই ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আল মামুন আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি অভিযান চালায়। কিন্তু আসামিকে ধরতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা এক ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করেন। যদিও পরে আসামিকে আমরা আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসি। হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামিকে ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। খুব শিগগিরই মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।