চার শিশু হত্যায় আরজু ও বসির রিমান্ডে
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু হত্যার ঘটনায় আসামি আরজু ও বসিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে আরজু ও বসিরকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক আরজুকে সাতদিন এবং বসিরের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চাঞ্চল্যকর এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন গণমাধ্যমকে জানান, এর আগে একই আদালতে আসামি রুবেল ও কাঁর ভাই জুয়েল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা এ হত্যাকাণ্ডে আরজুর জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু তাদের জবানবন্দিতে বসিরের নাম আসেনি। আদালত এসব বিবেচনায় নিয়ে আরজুকে সাতদিন এবং বসিরকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল রোববার বিকেলে এ মামলার আসামি সালেহ আহমেদকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। কিন্তু ওইদিন সরকারি ছুটি থাকায় তাঁর রিমান্ড শুনানি না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আজ সেই রিমান্ড শুনানির কথা ছিল। কিন্তু আজ তাঁকে আদালতে হাজির করেনি ডিবি পুলিশ।
এদিকে আজ দুপুরে ৪ শিশু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে হবিগঞ্জ শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শহরের টাউন হল রোডে ছাত্র সমন্বয় ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু নিখোঁজ হয়। এরপর গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাটির নিচ থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিশুরা হলো বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার দুই চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের ছেলে একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের ছেলে সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাঈল হোসেন (১০)।