যে উপসাগর না দেখলে ভিয়েতনাম ভ্রমণ অসম্পূর্ণ!
ভিয়েতনামের হালং উপসাগর আপনাকে নিয়ে যাবে এক অন্য জগতে। এটি প্রায় ১৬০০টি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। হালং টঙ্কিন উপসাগরে অবস্থিত। হ্যানয় থেকে প্রায় ১৬৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জ। এর ৫০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩ হাজার দ্বীপ রয়েছে। যার অধিকাংশই পাথুরে ও মাটির দ্বীপ। এর পাশাপাশি অসংখ্য গুহা ও গ্রোটোতো রয়েছেই। এই সব কিছুর মিশ্রণ ভ্রমণকারীদের অসাধারণ সামুদ্রিক দৃশ্য প্রদর্শন করে।
হালং উপসাগরে থাকা চুনাপাথরের স্তম্ভগুলো আপনাকে দিবে অপূর্ব সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ। এটি প্রায় জনবসতিহীন বললেই চলে। সামুদ্রিক প্রাণী, স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ ও পাখির বৈচিত্র্যময় আবাসস্থল এই জায়গাটিকে আরও বিস্ময়কর করে তুলে।
শ্বাসরুদ্ধকর সুন্দর হালং উপসাগর ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে বেড়াতে গেলে মনে হবে আপনি কোনো কাল্পনিক জগতে আছেন। এই উপসাগর একাধিক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দৃশ্যের জাদুকরী পটভূমি হিসাবে কাজ করেছে। তাই বলা চলে, ভিয়েতনামের সবচেয়ে চমকপ্রদ আকর্ষণগুলোর মধ্যে এটি একটি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলোর মধ্যে একটি।
‘হালং’ এর অর্থ হচ্ছে ড্রাগনের অবতরণ। এখানকার স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন যে, একটি ড্রাগন পাহাড় থেকে উপকূলের দিকে প্রবাহিত হয়েছিল। আর তখনই এর দ্বীপগুলো তৈরি হয়েছিল। কথিত আছে যে, ড্রাগন তার লেজ দিয়ে পানিতে আঘাত করায় অঞ্চলটি প্লাবিত হয়। এরপর এই উপত্যকায় থাকা চূড়াগুলো ছাড়া আর কিছুই দৃশ্যমান থাকে না।
ভিয়েতনামের উত্তর-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এই উপসাগরটির সবুজ-নীলাভ পানি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এটি রেইনফরেস্ট দ্বারা আচ্ছাদিত। হালং উপসাগর গুহা অনুসন্ধানকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় স্থান। নৌকা ভ্রমণের জন্যও এটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। এটি না দেখে ভিয়েতনাম ভ্রমণ সম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে না!
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।