আরও এগিয়ে এসেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে আজ শুক্রবার (১২ মে) ভোররাত ৩টার দিকে এক হাজার ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল মোখা। কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকেও প্রায় এমনই দূরত্বে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। এজন্য এসব সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান আজ ভোরে সামুদ্রিক সতর্কবাতার ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘণীভূত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, মোখা আজ শুক্রবার (১২ মে) ভোররাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গেপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।