আন্তর্জাতিক মহলও শেখ হাসিনার প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল : এনামুল হক শামীম
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, প্রজ্ঞা, মেধা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে বাংলাদেশকে এমন এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, শুধু বাংলাদেশই নয়, আন্তর্জাতিক মহলও তার প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল।’
আজ রোববার (১৪ মে) শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের প্রেমতলা এবং মনোহর বাজার থেকে আলুরবাজার ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়ক ফোর লেনে উন্নীত করার কাজে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কাজের ব্যাপারে কোনোরকম অনিয়ম ও গাফিলতি সহ্য করা হবে না। তবে, জনসাধারণকে সহযোগিতা করতে হবে। বুঝতে হবে, জনসাধারণের জন্যই এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।’
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, “শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বয়স্ক ও বিধবাভাতাসহ সব সেবা মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে। ‘গ্রাম হবে শহর’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের এই গতি অব্যাহত থাকলে, এশিয়ার সেরা দেশ হবে বাংলাদেশ। তাই, যার যার অবস্থান থেকে সততার সঙ্গে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।”
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে উপমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে, জনগণের সেবক হিসেবে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো একে একে পূরণ করার জন্য কাজ করতে হবে। গ্রামের তৃণমূলের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হবে। জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটসহ কোনো সেবা নিয়ে হয়রানি করা যাবে না। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষ যেন তার অধিকার ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে প্রমুখ।
উপমন্ত্রী পরে মনোহর বাজার থেকে আলুর বাজার ফেরিঘাট পর্যন্ত ফোর লেন সড়কের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এসময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূইয়া রেদোয়ানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।