তিন মামলায় আগাম জামিন পেলেন ইমরান খান
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৯ মে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পরই সহিংসতা চালায় ইমরান খানের সমর্থক ও তার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় সম্ভাব্য তিন মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন পিটিআই প্রধান। আজ শুক্রবার (১৯ মে) লাহোর অ্যান্টি টেররিজম আদালত (এটিসি) থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এই জামিন দেন। খবর ডনের।
এর আগে অধিক নিরাপত্তার মধ্যে আজ লাহোরের এটিসি আদালতে হাজির হন ইমরান খান। অনুমোদন পাওয়ার পরই আদালত প্রাঙ্গণে গাড়ি নিয়ে হাজির হন পাকিস্তানের ৭০ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, এটিসি পিটিআই প্রধানের আগাম জামিন দেয়, যা বহাল থাকবে ২ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে জিন্নাহর বাড়িতে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় তদন্ত করছে দেশটির পুলিশ। আদালতকে তদন্তে সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন ইমরান খান।
এর আগে ইমরান খান বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর ওর হামলায় আমাকে অভিযুক্ত করার জন্য সবাই উঠে পড়ে লেগেছে।’ লাহোরে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতনের বাড়িতে হামলা নিয়ে কেন এখনও কোনো বিবৃতি তিনি দেননি, এ প্রশ্ন করা হয়। জবাবে ইমরান খান বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে এটি করেছি।’ পরে তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও নওয়াজের জোট সরকার পিটিআইকে মূলধারা রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাই।’
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার একদিন পরেই অর্থাৎ, ১০ মে তাকে জামিন দেওয়া হয়। এরপর জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত করা হয়। একই মামলায় ২৩ মে পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিও।
গত বছরের এপ্রিলে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। এরপর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে, যার মধ্যে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা অন্যতম।
ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই গোটা দেশজুড়ে ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন ইমরান খান। নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার। এমনকি, সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বলে অভিযোগ করছেন। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে দেশটির সেনাবাহিনী।