তুরস্কে প্রেসিডেন্ট পদে ভোটগ্রহণ শুরু
তুরস্কে প্রথম পর্বে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ অর্জনে ব্যর্থ দুই শীর্ষ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর লড়াই দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে। আজ রোববার (২৮ মে) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ১১) শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। এক লাখ ৯২ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৯ ঘণ্টাব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষ হবে ওই দেশের সময় অনুযায়ী বিকেল ৫টায়। এই ভোটের মাধ্যমে ২০ বছর ধরে তুরস্কের মসনদে থাকা রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শাসনামল আরও পাঁচ বছর বাড়বে কি না, তা নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন বিরোধী জোটের নেতা কেমাল কিলিকদারোগলু। তিনি এই ভোটকে তুরস্কের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণের গণভোট বলে উল্লেখ করেছে। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।
তুরস্কের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ভোটের প্রথম পর্বে যত ভোট পড়বে তার ৫০ শতাংশ সমর্থন পেতে হয় একজন প্রার্থীকে। গত ১৪ মে তুরস্কে পার্লামেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট পদে ভোট। সেদিন প্রার্থীদের কেউই অর্জন করতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত ৫০ শতাংশ ভোট । ফলে দ্বিতীয় ধাপে গড়ায় ভোট। আজ সেই লড়াইয়ের দিন। দেশটির আইন অনুযায়ী, প্রথম পর্বে ভোটে এগিয়ে থাকা শীর্ষ দুই পদপ্রার্থী থাকবেন এই লড়াইয়ে। সে হিসেবে ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট পাওয়া এরদোয়ান ও ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পাওয়া কেমাল কিলিকদারোগলুর এখন অপেক্ষার পালা। তাদের একজনই আজ পেতে চলেছেন তুরস্কের মসনদ।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের কারচুপি ঠেকাতে বিরোধী দলগুলো একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রথম পর্বের পর আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা ভোটের মাঠে অসমতার কথা উল্লেখ করেছিলেন।
এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে প্রবল মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের বড় অংশের ভোটগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রথম রাউন্ডে ভোট পড়েছে ৮৮ দশমিক আট শতাংশ। এতে এরদোয়ান এগিয়ে আছেন। তাই উভয় প্রার্থীরই নজর ৮০ লাখ ভোটারের ওপর, যারা প্রথম পর্বে ভোট দেননি, কিন্তু এবার দিতে পারেন।