আশুগঞ্জ বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি। আজ সোমবার সকালে এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটির সভাপতি হাজি মো. শাহাজাহান সিরাজ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান। তাঁরা সাত মাস আগে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বিএনপির কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। ওই সময় জেলা বিএনপি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার সময় দিয়েছিল। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ সকালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আসাদুজ্জামান শাহিন স্বাক্ষরিত ১০১ সমস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করে। উক্ত কমিটিতে হাজি মো. শাহাজাহন সিরাজকে সভাপতি, মো. হাবিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক, হাজি মো. মোবারক হোসেন সিনিয়র সহসভাপতি, মো. নাসির মুন্সিকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মো. কামাল হোসেন জয়কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নবগঠিত আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব এ প্রতিবেদককে ফোনে বলেন, নবগঠিত আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপিতে যাঁরা আছেন তাঁরা সবাই উপজেলা বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মী। এই নেতাকর্মীদের দিয়ে আমরা ভবিষ্যতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করব।
এদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সহসভাপতি হাজি মো. সাদেকুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম পারভেজ, পারভেজ খাসহ একটি বড় অংশ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে দুর্বল কমিটি উল্লেখ করে বলেন, এই কমিটি বিতর্কিত এবং ইউনিয়ন যুবদল নেতাদের দিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে । যার মাধ্যমে বিএনপির মতো একটি বড়দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাম প্রকাশ না করে কমিটি থেকে বাদপড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের একটি সূত্র এই মন্তব্য করে। তারা এও বলে, এই কমিটি কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করতে পারবে না।
নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জয় বলেন, নবগঠিত আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটিতে তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যা দলের আন্দোলন সংগ্রামকে শাণিত করবে। বিতর্কিত কাউকে কমিটিতে রাখা হয়নি।
এদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ খানের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, নবগঠিত আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটিতে বেশিরভাগ নাবালককে রাখা হয়েছে। যা দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাদের দিয়ে ভবিষ্যতে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করা যাবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, হাজি মো. শাহজাহান সিরাজের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনরি আহ্বায়ক কমিটি থাককালীন দুই বছরে কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি পালন করতে আমরা দেখিনি। তাদের দ্বারা দল চলবে না। তিনি এই কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
এদিকে জেলা বিএনিপির আহ্বায়ক প্রবীণ বিএনপিনেতা মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আশুগঞ্জের নবগঠিত কমিটি শক্তিশালী হয়েছে।এখানে নতুনদের এবং এনার্জেটিক লোকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।