স্যালুট দিয়ে জেল থেকে বেরোলেন সঞ্জয় দত্ত
দীর্ঘকায় শরীরটা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছিল কারাগারের আঙিনার বাইরের দিকে। বহুদিনের ক্লান্তি, মানসিক চাপ নাকি মুক্তির চাপা আনন্দ? সঞ্জয় যেন মুখটাই তুলতে পারছিলেন না। হঠাৎ করেই পেছন ঘুরে সটান দাঁড়িয়ে গেলেন, স্যালুট করলেন জাতীয় পতাকার উদ্দেশে। তার পর কাঁধের বিশালাকায় ব্যাগটা এক ঝটকায় তুলে নিয়ে এগিয়ে যেতে লাগলেন সামনের দিকে। তারপরই কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বেরিয়ে এলেন সঞ্জয় দত্ত। অবশেষে আজ থেকে তিনি মুক্ত।
পাঁচ বছরের জেল। তার মধ্যে তারকাখ্যাতির (!) সুবাদে প্যারোলে ছুটি পাওয়া আড়াইশ দিনের ছুটি। যা-ই হোক, জেল কিন্তু ঠিকই খাটতে হয়েছে সঞ্জয়কে। জেলখানার সঙ্গে তাঁর এই সখ্য আজকের নয়, বহুদিনের। মুম্বাই থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে অনেক সময়ই তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সেগুলোর প্রমাণ যতটাই হোক আর না হোক, তার ঝক্কি তো তাঁকে পোহাতে হয়েছেই। জেলযাপন এর অন্যতম অংশ।
আজ স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে পুনের ইয়েরওয়াড়া কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সঞ্জয় দত্তকে। নির্ধারিত মেয়াদের খানিক আগেই ‘ভালো আচরণের’ প্রাপ্তিস্বরূপ ছাড়া পেয়েছেন তিনি। সঞ্জয়ের বের হয়ে আসার সময়টুকুও ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে, কারণ এটি সঞ্জয়ের ওপরে নির্মিতব্য বায়োপিকে ব্যবহারের চিন্তা করেছেন তাঁর বন্ধু ও প্রখ্যাত পরিচালক রাজকুমার হিরানি। রাজকুমার নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনিই সঞ্জয়কে সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন বিমানবন্দরের দিকে।
মুক্তির পর ছেঁকে ধরা গণমাধ্যমকর্মীদের অজস্র প্রশ্নের জবাব এক কথাতেই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন সঞ্জয়, ‘বন্ধুগণ, মুক্তির পথ কখনোই সহজ নয়!’
সেই ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বোমা বিস্ফোরণের মামলা, তখন থেকে অভিযোগ, জেল—২৩ বছর পর মিলল চূড়ান্ত নিষ্কৃতি। মুক্তির পথ যে কখনোই সহজ নয়, তা সঞ্জয়ের মতো কয়জনই বা বুঝবেন!