চাঁদপুরে ৫০টি বাল্কহেডসহ শতাধিক শ্রমিক আটক
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে অবৈধ বাল্কহেডের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে নৌপুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে নৌপুলিশের কয়েকটি ইউনিট।
নৌপুলিশের এসব অভিযানে ৫০টি বাল্কহেডসহ শতাধিক শ্রমিককে আটক করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চাঁদপুর নৌপুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। অভিযানে বাল্কহেডের বৈধ কাগজপত্র, ফিটনেস ত্রুটি এবং চালক ও সুকানিদের লাইসেন্স রয়েছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হয়।
নৌপুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নৌপুলিশ এর আগেও কয়েকবার অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। চলতি বছর ১৫৫টি বালুবাহী বাল্কহেড আটক করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাল্কহেডের বিরুদ্ধে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে আটক ব্যক্তি ও বাল্কহেডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নৌপথকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে নৌপুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। নদীতে কোনো অনিয়ম কোনোভাবে বরদাস্ত করা হবে না। নদীকেন্দ্রিক যেকোনো অপরাধে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নৌপুলিশ সুপার বলেন, ‘যারা রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করছে—আমরা তাদের বিরুদ্ধে ত্রিমাতৃক অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা তাদের বালু উত্তোলন করতে দেই না। তার পরও যারা চুরি করে বালু উত্তোলন করে, সেগুলো যাতে পরিবহণ করে অন্য কোথাও বিক্রি করতে না পারে তার জন্য আমাদের এই অভিযান। নৌপুলিশের পাঁচটি দল ভোররাত থেকে এই অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় ৫০টি বাল্কহেডসহ শতাধিক শ্রমিককে আটক করা হয়। এদের কারোই বালু উত্তোলনের অনুমোদন নেই। সবাই চোরাইভাবে বালু পরিবহণ করছে। এ ছাড়া এখানে অনেক বাল্কহেড আছে, যাদের নিবন্ধন নেই। আমাদের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন এবং অনিবন্ধিত বাল্কহেডের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।’
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী নৌপুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জেল হোসেন, নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (মোহনপুর) মো. মনিরুজ্জামানসহ নৌপুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।