দুর্নীতির মহাপরিকল্পনার বাজেট : ১২ দলীয় জোট
সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দুর্নীতির মহাপরিকল্পনার বাজেট ঘোষিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ১২ দলীয় জোট। একইসঙ্গে সরকারের ঘোষিত সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটকে বাস্তবায়নের অযোগ্য বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া ১২ দলীয় জোটের নেতারা এক বিবৃতিতে একথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের নেতৃরা বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে এক শ্রেণির লোককে ধনী বানানোর বাজেট এটি। অতীতের ন্যায় এবারও এই বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে হরিলুটের মাধ্যমে বিদেশের টাকা পাচার করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। গত সাত বছরে দেশের ভেতরে ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে, যে কারণে আগামী প্রজন্মকে বহুকালের জন্য ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন যেখানে নাভিশ্বাস সেখানে টিআইএন থাকলেই তাকে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা করের আওতায় আনায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।’
১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, ‘যেখানে গত বছরের বাজেটের ৩৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি, সেখানে আরও বড় বাজেট বাস্তবায়নের অযোগ্য। উচ্চমূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনাকে সুশাসনের আওতায় নিয়ে আসতে হলে প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট রূপরেখা। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন স্বনির্ভর অর্থনীতির জন্য সুসংগঠিত পদক্ষেপ। জনগণের সম্পদ কীভাবে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়, তার বাস্তবধর্মী রূপরেখা দেখতে চায় জনগণ। কেননা জনগণের সন্তুষ্টি ও প্রত্যাশা প্রতিফলিত হয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে। এই বাজেটে এর কোনোটাই প্রতিফলিত হয়নি।’
১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ‘জনগণের প্রতি যাদের দায়বদ্ধতা বা জবাবদিহিতা নাই তারাই কেবল এই ধরনের বাজেট প্রণয়ন করতে পারেন।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতারা হলেন—জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কারী মোহাম্মদ আবু তাহের মুফতি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান ডক্টর সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেউদ্দিন।