পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
২০২৩-২৪ অর্থবছরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ১০ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ মন্ত্রণালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা, যা সংশোধিত আকারে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন।
বাজেটে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৪৪৯ কোটি এবং উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে সাত হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ঝুঁকি সম্প্রসারণ প্রকল্প, বন্যা ও নদী তীর ক্ষয়ের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিনিয়োগ কর্মসূচি, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট, সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং-১৫ পুনর্বাসন প্রকল্প, চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, লক্ষীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলাধীন বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদের পন্ডিতের হাট এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ, তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প, ভোলা জেলার মুজিবনগর ও মনপুরায় উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও তীর সংরক্ষণ, চলনবিল ও আড়িয়াল বিল এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য পানি ও ভূমিসম্পদের সমন্বিত সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন খাতের ওপর বাজেট বরাদ্দে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় বিশেষ প্রস্তাবিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত। এরপর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বাজেট সংসদে উপস্থাপনের অনুমতি দিয়ে তাতে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এদিন বঙ্গভবনের পরিবর্তে জাতীয় সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে অফিস করেন তিনি।
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি তাঁর পঞ্চম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট।