শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হবে : অর্থমন্ত্রী
আমদানির হার কমার পাশাপাশি রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির শিগগিরই উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করার সময় এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমদানি বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। একইসঙ্গে আমরা আমাদের রপ্তানি আয় বাড়াতে রপ্তানি উদ্বুদ্ধকরণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। পাইপলাইনে থাকা বিদেশি ঋণ ছাড়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যে রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর বেশি জোর দিতে চায়।’
‘ব্যালান্স অব পেমেন্টসে অস্থিরতা হ্রাস পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এর জন্য সরকারের ‘সময়োপযোগী কৌশলের’ প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমরা সতর্ক থাকব এবং আসন্ন আর্থিক বছরেও একটি সুবিধাজনক নীতি গ্রহণ করব।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিময় হারকে ক্রমান্বয়ে বাজারমুখী করার চূড়ান্ত লক্ষ্যে বিদ্যমান একাধিক বিনিময় হারের ব্যবধান ন্যূনতম পর্যায়ে আনার কাজ চলছে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমদানিকৃত জিনিসপত্রের মূল্য নির্ভুলতা যাচাই করতে এলসি খোলা, নিষ্পত্তি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদ্ধতিগত প্রয়োজনীয়তা পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একই লক্ষ্য নিয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে আনুষ্ঠানিক চ্যানেল ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে মোবাইল আর্থিক পরিষেবার মতো প্রেরক-বান্ধব প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
‘বাংলাদেশি ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ফি ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগগুলোর ফলে আমাদের রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে’, যোগ করেন মন্ত্রী।