জাতীয় চা দিবস আজ
জাতীয় চা দিবস আজ রোববার (৪ জুন)। দেশে তৃতীয়বারের মতো এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ চা বোর্ড এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “এক সময় চা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য। সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালে ‘উন্নয়নের পথনকশা : বাংলাদেশ চা শিল্প’ অনুমোদন দিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের প্রসারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বৃহৎ বাগানের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলার প্রায় ১২ হাজার একর জমিতে ক্ষুদ্র পরিসরে চা চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর এ অঞ্চলের বাগানগুলো চা উৎপাদনের অতীত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শুধু দেশের উত্তরাঞ্চলে ২০২২ সালে রেকর্ড পরিমাণ ১৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়।
চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়।