জান্তা আদালতে হয়রানি ও হুমকির শিকার আইনজীবীরা : এইচআরডব্লিউ
মিয়ানমারে রাজনৈতিক বন্দিদের পক্ষে আইনি লড়াই করা আইনজীবীরা জান্তা পরিচালিত আদালতে সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্নভাবে হয়রানি এবং কারাভোগের শিকার হচ্ছেন। ভয় দেখিয়ে অনেককে মামলা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করাও হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছরেরও বেশি সময় আগে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকার দেশটিকে অশান্তিতে নিমজ্জিত করেছে এবং তারা ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়ে কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেছে, সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সুচি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বিরোধীদের গলা টিপে ধরতে আদালতকে ব্যবহার করে। রুদ্ধদ্বার আদালতে দেওয়া সাজায় তারা কারাগারে রয়েছেন।
১৯ আইনজীবীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এইচআরডব্লিউর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক অপরাধের বিচারে জান্তার প্রতিষ্ঠিত ‘বিশেষ আদালতে’ কর্মরত প্রতিরক্ষা আইনজীবীরা কর্তৃপক্ষের হয়রানি, ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হন।
ইয়াঙ্গুনভিত্তিক এক আইনজীবী বলেন, ‘আদালতে এখন আমাকে সত্য বলার পরিবর্তে নিজের আটক না হওয়ার বিষয়ে চিন্তা করতে হয়। আদালতে সবাই জানে আমি কে, জান্তা আমাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারে এবং তারা চাইলেই যেকোনো কারণ তৈরি করতে পারে।’
অ্যাটর্নি ইয়েট নু অং-এর মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে এইচআরডব্লিউ জানায়, আদালতে শুনানি করে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। তিনি একজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
জান্তাবিরোধী মিলিশিয়াদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে সাহায্য করার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার শুনানির আগে নিয়মিত মক্কেলদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করতেও বাধা দেওয়া হয় আইনজীবীদের।
অন্য এক আইনজীবী বলেন, ‘কখনও কখনও মামলার জেরাও করা সম্ভব হয় না।’