খাঁচায় বন্দি হায়েনা নিয়ে গেল ২ বছরের শিশুর হাত
পরিবারের সবার সঙ্গে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়েছিল দুই বছর বয়সী সাইফ। প্রাণবন্ত হাসি নিয়ে বাবা-মায়ের ঘুরছিল অবুঝ শিশুটি। হুট করেই বাবা-মায়ের দৃষ্টিগোচরে বন্যপ্রাণী হায়েনা বন্দি খাঁচার কাছে চলে যায় সে। আর এই সুযোগেই একটি হায়েনা এসে সাইফের হাতে কামড় বসায়। কামড় দিয়ে টেনে শিশুটির ডান হাতের কব্জি ছিঁড়ে নিয়ে যায় বন্যপ্রাণীটি। পরে, সাইফকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় হাসপাতালে। ইতোমধ্যে এক দফায় অস্ত্রোপচার হয়েছে সাইফের।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরের দিকে জাতীয় চিড়িয়াখানায় এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার শিকার সাইফ পোশাক শ্রমিক মো. সুমনের ছেলে। বর্তমানে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে দুই বছরের শিশুটি। সাইফের চিকিৎসার প্রাথমিক ব্যয় বহন করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, আজ সকালে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানায় যায় পোশাকশ্রমিক সুমন। দুপুর ১২টার দিকে চিড়িয়াখানায় হায়েনার খাঁচার সামনে গিয়ে মায়ের কোল থেকে নামে সাইফ। হঠাৎই হায়েনার খাঁচার সামনে চলে যায় সে। খাঁচায় থাকা হায়েনাটি শিশুটির হাতে কামড় দেয়। কামড়ের একপর্যায়ে ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে, চিড়িয়াখানার লোকজনের সহায়তায় প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। পরবর্তীতে, তারা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষেয় জাতীয় চিড়িয়াখানার সরকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা শিশুটিকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা করি। পঙ্গু হাসপাতালে এখনও শিশুটি চিকিৎসা সহায়তার জন্য আমাদের একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। তিনি সবকিছু দেখভাল করছেন। বর্তমানে শিশুটি শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।’
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে লোকসমাগম থাকলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার পরপরই সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আজকের ঘটনায় প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তারা এ বিষয়টি দেখছেন।’
হায়েনা শিশুটি সাইফের হাতের যে অংশ নিয়ে গেছে সেটি আর পাওয়া যায়নি বলেও জানান চিড়িয়াখানার এই কর্মকর্তা।