বেইজিং পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন
দুই দিনের চীন সফরে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে বেইজিং পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এটি প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন কূটনৈতিক কর্মকর্তার প্রথম চীন সফর। খবর বিবিসির।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে চরম উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করা।
প্রায় পাঁচ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একটি সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুন উড়তে দেখার পর ব্লিঙ্কেনের সফরটি স্থগিত করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এই সফর থেকে প্রত্যাশা কমিয়েছে এবং উভয় পক্ষই স্পষ্ট করেছে, তারা বড় ধরনের কোনো অগ্রগতির আশা করছে না।
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলছেন, ব্লিঙ্কেনের এই সফরের লক্ষ্য হলো, উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগের লাইনগুলো পুনরায় চালু করা এবং বেলুন উড্ডয়নের ঘটনার পর থেকে যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা স্থিতিশীল করা।
সম্প্রতি চীন তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া করেছে, যেটিকে বেইজিং চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে।
সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং ও চীনা পররাষ্ট্র নীতির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন এজেন্ডায় আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ, উন্নত কম্পিউটার প্রযুক্তি, মহামারি ও চীনা মানবাধিকার পরিস্থিতি- এসব বিষয়ে আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের।
চীনা কর্মকর্তারা ব্লিঙ্কেনের সফরের বিষয়ে সচেতন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, প্রশ্ন তুলেছেন- যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সংশোধনের প্রচেষ্টায় আন্তরিক কি না?
তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের দেখা হবে, কি না তা স্পষ্ট নয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ব্লিঙ্কেন হলেন চীনে যাওয়া মার্কিন সরকারের সর্বোচ্চ পদের কোনো কর্মকর্তা।
ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (১৬ জুন) সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যেমনটি আমরা সাধারণত করি, চীনের সঙ্গে আমাদের যে প্রতিযোগিতা আছে, তা যেন বিবাদে না জড়ায়, সেটি যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু করা যায়।’
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করার আশাও প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি বৈঠক সংক্ষিপ্তভাবে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কা কমিয়েছিল। তবে, বেলুনকাণ্ডের পর থেকে দুই নেতার মধ্যে উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ কমে যায়।