রুবেল-বরকতের অর্থপাচার মামলায় আসামি ৫৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান, চার্জশিট জমা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। আজ রোববার (২৫ জুন) সকালে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে সিআইডি। মামলার এক বছর পর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় সিআইডি। কিন্তু সে সময় চার্জশিট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্যে ছয়টি নির্দেশনা দিয়ে আবারও নতুন করে চার্জশিট দাখিলের নির্দেশনা দেয় আদালত। সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৭ জনকে যোগ করে মোট ৪৭ জনকে আসামি করে চার্জশিট দিল সিআইডি।
রুবেল-বরকত ছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, এইচ এম ফুয়াদসহ অনেকে। এরই মধ্যে রুবেল-বরকতের ২০০ একর জমি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে আদালত। তদন্তের পর আদালতে দেওয়া হয় অভিযোগপত্র।
এজাহার থেকে আরও জানা যায়, ২০১৭ থেকে ২০২০ এই চার বছরে ফরিদপুরেই ৪৭৫টি টেন্ডার বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে রুবেল-বরকতের বিরুদ্ধে। এ সময় তাদের ৯টি ব্যাংকের ১৮৮টি হিসাবে লেনদেন হয় ২ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এসব টাকার মধ্যে ব্যাংকে ঋণ ১৭১ কোটি ও টেন্ডারের জামানত ২০৪ কোটি টাকা বাদে বাকি সবই অবৈধভাবে অর্জিত বলে অভিযোগ ওঠে। তাদের দেশে থাকা সম্পদ জব্দ হলেও বিদেশে পাচার হয়েছে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।