নির্বাহী বিভাগের ইচ্ছা পালন করছে ইসি : রিজভী
নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেদের স্বাধীন সত্তাকে ভুলে গিয়ে নির্বাহী বিভাগের ইচ্ছা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ জমা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আসলে আজ্ঞাবহ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের একটি স্বাধীন সত্তা আছে, সাংবিধানিক আলাদা একটি কর্তৃত্ব আছে। সে কর্তৃত্ব তারা না মেনে, নিজেদের বিলীন করে দিয়েছে। ইসি এখন নির্বাহী বিভাগের যে ইচ্ছা, তা পালনের জন্য তারা কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন আসলে আজ্ঞাবহ। এর কোনো মেরুদণ্ড নেই। সে সরকারের বেআইনি ইচ্ছা, সরকারের একচেটিয়া সবকিছু দখল করে নেওয়ার যে ইচ্ছা, সেটিকে সিলমোহর দেওয়ার জন্য কাজ করছে ইসি।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে যা কিছু ঘটছে তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র চিঠি আকারে ইসিতে জমা দিয়ে গেলাম। কিন্তু এ নিয়ে ইসির কোনো কার্যক্রম নেই, তবুও দলিল রাখার জন্য এগুলো দিলাম।’ তিনি আরো বলেন, চিঠির মূল বিষয় হলো অনিয়ম, বিধি লঙ্ঘন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বেআইনি কার্যকলাপ ও সংঘাত-সংঘর্ষ প্রসঙ্গ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপির প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করা, মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া, বাসাবাড়িতে, পথে-ঘাটে এবং নির্বাচনী কার্যালয়েও সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করছে শাসক দলের ক্যাডাররা।’ তিনি বলেন, প্রথম ধাপের ৭৩৮ ইউপির মধ্যে ১১৪টিতে বিএনপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। অথচ আওয়ামী মনোনীত ৫১ প্রার্থী এরই মধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করার মুখ্য লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচনী কর্মকর্তা, জনপ্রশাসন এবং সন্ত্রাসী ক্যাডারদের যৌথ উদ্যোগে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে একটি অভিনব ঘটনা ঘটেছে। ভোলায় বিএনপির একজন প্রার্থীকে তাঁর ভোটার এলাকার পরিবর্তে অন্য এলাকায় স্থানান্তর করে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় রিজভীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম ও সহদপ্তর সম্পাদক তায়েবুল ইসলাম।