আমরা বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নোয়াবো না : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা কোনো বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নোয়াবো না। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সপ্তম নৌবহর ও অস্ত্র পাঠিয়ে আমাদের বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বাঙালি সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করেই স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা অর্জন করেছে।’
আজ শনিবার (১ জুলাই) কুমিল্লার লাকসামে পৌর ছাত্রলীগের সদ্য প্রয়াত সহসভাপতি ইফতেখার আহমেদ অনিকের কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, “কোনো বিদেশি শক্তির প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নির্বাচন হবে না। কারণ, এই দেশ আমাদের। বিদেশিরা আমাদের ‘ভিক্ষুকের জাতি’ খেতাব দেওয়া ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। সেই অপবাদ দূর করে বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল। যত চাপই আসুক আমাদের নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী এবং সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘লাকসামে ছাত্রলীগের নেতা অনিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে যুবদল ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা। আর এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম মিথ্যাচারে নেমেছেন। তিনি হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ না করে উল্টো বিএনপিনেতার বাড়ি ভাঙচুর করার মিথ্যা ও বানোয়াট বিবৃতি দিয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিএনপি চায় জনগণের ভোটের অধিকার যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়। এজন্য তারা ভোট চায় না; তারা সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাই নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারাই মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করেছে। অথচ, এখন তারা বলে জণগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। যত ষড়যন্ত্র আর বাধাই অসুক সংবিধান অনুযায়ী পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আগামীতে বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে।’
লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনূস ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন সানী, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তুষার, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন প্রমুখ।
গত ২১ জুন ইফতেখার আহমেদ অনিক দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হন। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে মেধাবী ছাত্র নেতা অনিকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি মারা যান।