আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে জানিয়েছেন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। এটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) বলে ধারণা তাদের। খবর বিবিসির।
আজ বুধবার (১২ জুলাই) সকালে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওড়ার পর জাপানের জলসীমায় পড়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি।
সম্প্রতি নিজেদের ভূখণ্ডে মার্কিন গুপ্তচর প্লেনের অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পরেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল পিয়ংইয়ং। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে এই ধরনের প্লেনগুলোকে গুলি করে নামানোর হুমকি দিয়েছিল তারা।
ওয়াশিংটন অবশ্য অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তাদের সামরিক টহল আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
এই বছর উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র তৎপরতা বাড়ার পর উপদ্বীপে নিরাপত্তা নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং তাদের অস্ত্র উন্নতকরণের প্রতিশ্রুতির জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া ওই এলাকায় যৌথ সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে।
উত্তর কোরিয়া এই বছর কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এছাড়া একটি গুপ্তচর স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছিল, যা ব্যর্থ হয়েছে। এপ্রিলে এখনও পর্যন্ত তাদের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দাবি করেছে তারা।
আজ বুধবার সকালে জাপানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কথা জানিয়েছেন। যখন এটি উড়ছিল, কর্তৃপক্ষ এটি একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বলে শনাক্ত করেছিল।
জাপানি কোস্ট গার্ড জানায়, পিয়ংইয়ং থেকে পূর্ব দিকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় উড়ে জাপান সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে সমুদ্রে অবতরণ করে ক্ষেপণাস্ত্রটি।
গত জুনের মাঝামাঝিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। তবে, দেশটি ফেব্রুয়ারিতে একটি আইসিবিএমও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। আইসিবিএম বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, কারণ এটির দীর্ঘ পরিসর, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডসহ বিস্তৃত।