কখনো নৌপথে, কখনো সড়কপথে ইয়াবা পাচার করতেন তারা : ডিএনসি
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত চার জনকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ডিএনসির দাবি, তারা কখনো নৌপথে, কখনো সড়কপথে ইয়াবা পাচার করেন।
আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে তেজগাঁওয়ে ডিএনসির ঢাকা মহানগর উত্তর অঞ্চলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী এ তথ্য জানান।
ডিএনসির দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন, যারা বাহক হিসেবে কাজ করছিলেন। গ্রেপ্তার চারজন হলেন, সাধন তনচংগ্যা (২৫), ফাতেমা (৩৫), মমিনা বেগম (২০) ও ইয়াকুব আলী (৪০)।
মজিবুর রহমান পাটওয়ারী জানান, গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আলাদা তিনটি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রের সদস্যরা মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলে ইয়াবা ছড়িয়ে দিতেন। তারা কক্সবাজার থেকে প্রথমে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে আসেন। তারপর সেটি উত্তরাঞ্চলে পাঠিয়ে দেন।
মজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুই নারী ফাতেমা ও মমিনা বেগম প্রথমে সড়কপথে কক্সবাজার থেকে চাঁদপুরে আসেন। তারপর নৌপথে ঢাকায় এসে ইয়াবার চালান সরবরাহ করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা লাগেজের মধ্যে বিশেষ কৌশলে ইয়াবা লুকিয়ে রেখে সেটি পাচার করতেন। তাদের দুজনের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। একই কৌশলে একাধিক ইয়াবার চালান ঢাকায় নিয়ে এসেছেন তারা।
ডিএনসির কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে সাধন তনচংগ্যা নামের এক মাদক কারবারি রয়েছেন। তার বাড়ি রাঙামাটিতে হলেও উত্তরবঙ্গকেন্দ্রিক মাদক চক্রের অন্যতম সদস্য তিনি। তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার গাবতলী থেকে ১১ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এই চালান তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে রাঙামাটিতে নিয়ে যান। সেখান থেকে একটি পরিবহনে গাবতলীতে নিয়ে আসেন। এই চালানের সর্বশেষ গন্তব্য ছিল ঠাকুরগাঁও।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ইয়াকুব আলীকে ঢাকার মিরপুর থেকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ডিএনসি।
মজিবুর রহমান পাটওয়ারী জানান, রংপুর অঞ্চলে ইয়াবা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছিলেন ইয়াকুব। তিনি থাকেন ঢাকার মিরপুরে। তিনি টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে নিজেই ইয়াবা সংগ্রহ করেন। ইয়াবা সংগ্রহ করার জন্য কয়েক দিন সংগ্রহস্থলের আশপাশের হোটেলে পর্যটক সেজে অবস্থান করেন তিনি। পরে নিজস্ব পরিবহনে করে ইয়াবার চালান ঢাকায় নিয়ে আসেন তিনি। ইয়াবা পরিবহনের জন্য একটি মাইক্রোবাস এবং একটি মোটরসাইকেল কিনেছেন ইয়াকুব।
ডিএনসি জানায়, প্রায় এক মাস ধরে ইয়াকুবের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। গতকাল বিকেলে মোটরসাইকেলে করে তিনি ২৫ হাজার ইয়াবা ঢাকায় নিয়ে আসেন। এমন তথ্য পেয়ে গতকাল বিকেলে তাকে ২৫ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।