জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে সহায়তা চায় বাংলাদেশ : পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অনুদান চায় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশে জলবায়ু বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তাকারী অর্থায়নের উপকরণ ও কাঠামোতে অংশগ্রহণ করতে গভীরভাবে আগ্রহী।
আজ (১৪ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আইএমএফের রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) তহবিল সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট হতে জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদান ভিত্তিক অর্থায়ন প্রত্যাশা করে। আমরা সহযোগিতার শক্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই ও রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের জন্য বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য আইএমএফ থেকে নীতি পরামর্শ এবং সক্ষমতা উন্নয়ন সহায়তা পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আইএমএফ কীভাবে বাংলাদেশকে তার জলবায়ু এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে এবং জলবায়ু অর্থায়নকে গতিশীল করতে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করার সুযোগ চাই। জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শনে বাংলাদেশ বৈশ্বিক নেতৃত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ), মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রস্তুত করেছে। বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ বাস্তবায়নে অগ্রণী।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী, আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বো লি, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সহযোগী ও আইএমএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আইএমএফ কর্মকর্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।