বনশ্রীতে নিহত দুই শিশুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন
রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে দুই শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। শিশু দুটির শরীরে আঘাতের বেশ কিছু নীলাভ চিহ্ন রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস এ তথ্য জানান।
ডা. প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘অরণীর দেহে-গলায় আমরা ব্রুইজ (নীলাভ দাগ) পেয়েছি। চোখে আমরা রক্ত জমাট পেয়েছি। আলভী আমানের পায়ে আমরা ব্রুইজ পেয়েছি। তার গলায় ছিলা জখম পাওয়া গেছে। ’
এ ছাড়া শ্বাসজনিত কারণে মৃত্যু হলে যে লক্ষণ দেখা যায়, সেটা দুজনের দেহেই পাওয়া গেছে বলে জানান ফরেনসিক বিভাগের এ চিকিৎসক।
এ ছাড়া বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হলে যে ধরনের আলামত শরীরে থাকে তা তাঁরা এখনো দেখতে পাননি জানিয়ে প্রদীপ বলেন, ‘দুজনের শরীরেই আমরা কিছু আঘাতের চিহ্ন পাই। কিন্তু পুলিশ যেহেতু আমাকে হিস্ট্রি দিয়েছে যে খাবারে বিষক্রিয়ায় মারা যেতে পারে, এ জন্য আমরা ভিসেরা প্রিজার্ভ করেছি। ভিসেরা যখন পাব, তখন পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে পারব।’
এ ছাড়া শিশু দুটির মামা মো. ওবায়দুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি শিশু দুটির কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে এনটিভিকে জানান।
এ বিষয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, 'রহস্যজনক দুটি বাচ্চা, আপন ভাইবোন, মেয়েটার বয়স ১২, ছেলেটার বয়স ৬—দুজন মারা গেছে, রহস্য তো একটু আছেই।’
ব্যবসায়ী আমানুল্লাহ ও গৃহিণী জেসমিন দম্পতির বড় সন্তান নুসরাত জাহান অরণী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। আর আলভী আমান হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের নার্সারির শিক্ষার্থী। সোমবার দুপুরে দুই শিশুকেই এক বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শিশু দুটির পরিবার থেকে প্রাথমিক অবস্থায় জানানো হয়, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা জানান, মা-বাবার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে বনশ্রীর একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর পর মৃত্যু হয় তাদের। এ ঘটনার পর শিশু দুটির মৃত্যুর কারণ জানতে সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত শুরু করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রদীপ বিশ্বাস।