দুর্নীতির তিন মামলা চ্যালেঞ্জ করলেন সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল
দুর্নীতির তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীন। আজ রোববার (১৬ এপ্রিল) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আবেদনের অনুলিপি আমরা হাতে পেয়েছি।’
এর আগে গত ৬ এপ্রিল দুর্নীতির আলাদা তিন মামলায় পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আউয়াল এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে খাস জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে দুজনের নামে তিনটি মামলা করে দুদক।
বর্তমানে এসব মামলা বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গঠন করেছেন আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ। পরে, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মামলা তিনটি করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলী আকবর। এসব মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে একটি মামলার অভিযোগ, সাবেক এমপি আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন নিজের নাম লায়লা ইরাদ উল্লেখ করে ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট নেছারাবাদ উপজেলার স্বরুপকাঠি মৌজায় সরকারি ভিপি পাঁচ শতাংশ জমি ইজারা নেন।
ইজারা নেওয়ার আবেদনপত্রে লায়লা ইরাদের সই ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, আধাপাকা ভবন নির্মাণে কথা থাকলেও দ্বিতল ভবন করে এ কে এম আউয়াল ফাউন্ডেশন ও পাঠাগারের নামে অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন সেই জমি। ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল স্বামী-স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুদক কর্মকর্তা মো. আলী আকবর।
একই কর্মকর্তার করা দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগে বলা হয়, এ কে এম আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে এমপি থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী লায়লা পারভীনের পরিবর্তে লায়লা আউয়াল উল্লেখ পিরোজপুর সদরে রাজার পুকুরের ৪৪ শতাংশ জমি উভয়ের নামে নেন। পরে, পুকুর ভরাট করে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলে নেন। ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে এ মামলার চার্জশিট জমা দেন দুদকের একই কর্মকর্তা।
দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকার সময় নাজিরপুর উপজেলার বৈচাকাঠি পল্লীবিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের পাশে বৈচাকাঠি মৌজায় তিন শতাংশ খাস জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে নিয়ে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন এ কে এম আউয়াল। এরপর ভবনটি মাসিক ১৭ হাজার ২৫০ টাকা চুক্তিতে ভাড়া দেন। এ মামলায় ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুদকের একই কর্মকর্তা।