নিবন্ধন পেতে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা এবি পার্টির
সকল শর্ত পূরণ সত্ত্বেও এবি পার্টিকে নিবন্ধন না দিয়ে নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নিয়ম-নীতি, আইন ও সংবিধান লংঘন করেছে এমনটা মনে করেন দলটির নেতারা। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে তা মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এবি পার্টির সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে নেতারা বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের বিন্দুমাত্র নিরপেক্ষতা নাই। সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য গঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করার জন্য এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়।’
এবি পার্টির নেতারা আরও বলেন, ‘সকল শর্ত পূরণের পরেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস এবং সুষ্ঠু নির্বাচন কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত করার প্রয়াসে এবি পার্টিকে বেআইনিভাবে নিবন্ধন না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন ও এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, বি এম নাজমুল হক, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, আমিনুল ইসলাম, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।