কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য চুক্তিতে রাশিয়ার ‘না’
কৃষ্ণ সাগর হয়ে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য চুক্তি হয় রাশিয়ার সঙ্গে। তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কয়েক দফায় বাড়ানো সেই চুক্তি। আজ সোমবার (১৭ জুলাই) সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে, নতুন করে চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর কথা জানিয়েছে ক্রেমলিন। খবর এএফপি।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে হওয়া শস্য চুক্তি কার্যত শেষ। মস্কোর শর্ত মানা হলেই এই চুক্তিতে ফিরবে মস্কো। ক্রেমলিন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে।
জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি আজ শেষ হবে। এই চুক্তির ফলে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি করতে পারতো ইউক্রেন। তবে, ক্রেমলিন চুক্তি থেকে সরে আসায় বিশ্বে আর শস্য রপ্তানি করতে পারবে না কিয়েভ। এই চুক্তির ফলে সারাবিশ্বে শস্যের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তি কার্যত আজ শেষ। ইতোমধ্যে শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। রাশিয়ার শর্ত মানা হলেই তারা এই চুক্তিতে ফিরবে।’
ক্রেমলিনের ঘোষণার পর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাশিয়া আগ্রহী নয়, তা তুরস্ক, ইউক্রেন ও জাতিসংঘকে জানিয়ে দিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা তাস বলছে, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্ক ও ইউক্রেন কর্তৃপক্ষকে শস্য চুক্তি না বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জাতিসংঘের সচিবালয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ থাকা ক্রিমিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে দুজন নিহত ও ক্রিমিয়া ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার ঘণ্টাখানেক বাদেই ক্রেমলিন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে, এই হামলার সঙ্গে শস্য চুক্তির কোনো যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছেন পেসকভ। ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘদিন ধরে চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন। ক্রিমিয়ায় হামলার আগেই প্রেসিডেন্ট এই ঘোষণা দিয়েছেন।’
শস্য চুক্তি থেকে বের হওয়ার হুমকি আগে দিয়ে আসছিলেন পুতিন। তার অভিযোগ, রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির ক্ষেত্রে চুক্তি অনুযায়ী, মস্কোর প্রস্তাবনাগুলোকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি।