জালিয়াতি করে ইসির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাতজন, ভাইভায় গিয়ে ধরা
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অফিস সহায়ক পদে গত ৩১ মার্চ এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তারা উত্তীর্ণ হন। প্রায় দুই মাস পর গত ১৯ মে লিখিত পরীক্ষাতে অংশ নেন সাতজন। কিন্তু, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে বাধে বিপত্তি। কথাবার্তায় সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্টদের জেরা মুখে পড়লে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। জালিয়াতি করে এ পর্যন্ত আসার কথা জানার পর তাদের সোপর্দ করা হয় পুলিশের কাছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে ইসির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে ওই সাতজনের বিরুদ্ধে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।
আশাদুল হক জানান, মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণকালে প্রশ্নোত্তরে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে তাদের বক্তব্যের অসামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়। পরে তাদের হাতের লেখা পরীক্ষা করা হয়। ওই হাতের লেখার সঙ্গে উত্তরপত্রের হাতের লেখার অমিল পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে।
গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেসব পরীক্ষার্থী প্রতারণার মাধ্যমে এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তারা হলেন- সাতক্ষীরার আশাশুনির মো. ফজর আলী সানা ও মনোয়ারা খাতুন দম্পতির ছেলে হাফিজুর রাহমান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থানার বোয়ালিয়া মো. করিম মিয়া ও মোছা. মিনা বেগম দম্পতির ছেলে মো. ইরাম মিয়া ও নীলফামারীর চিলাহাটি উপজেলার পূর্ব কেতকীবাড়ীর সোহরাফ আলী ও বিলকিছ আক্তার দম্পতির ছেলে রিপন ইসলাম।
এ ছাড়া প্রতারণার মাধ্যমে এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অন্যরা হলেন- রংপুর সদরের বরেন চন্দ্র ও অনিতা রানীর ছেলে পলাশ চন্দ্র, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মো. মোজাফফর রহমান ও তানজিনা বেগমের ছেলে মো. তারিকুজ্জামান, বগুড়ার সারিয়াকান্দির মো. লোকমান হোসেন ও মোছা. লিপি বেগমের ছেলে মো. নুর মোহাম্মাদ এবং নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. খলিলুর রহমান ও সুফিয়া বেগম দম্পতির ছেলে মো. আব্দুল্লাহ।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আশাদুল হক।