ভাইবোনের মৃত্যু : ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে মা-বাবা ও খালাকে
রাজধানীর বনশ্রীতে ভাইবোনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মা-বাবা ও খালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত জামালপুর শহরের ইকবালপুর এলাকার নিজ বাড়িতে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন র্যাব সদস্যরা। পরে নিহত শিশু নুসরাত আমান অরণী ও আলভী আমানের বাবা আমানুল্লা, মা মাহফুজা মালেক জেসমিন ও খালা মিলাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা।
র্যাব-৩-এর ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ইকবালপুর গোলাপবাগ এলাকার বাসায় পৌঁছালে এলাকাবাসী এই অবুঝ দুই শিশুর লাশ দেখতে ভিড় করেন। পরে স্থানীয় হাই স্কুল মাঠে জানাজা শেষে জামালপুর পৌর কবরস্থানে রাতেই তাঁদের লাশ দাফন করা হয়।
গত সোমবার দুপুরে বনশ্রীয় বাসায় দুই শিশুকে এক বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমানুল্লাহ ও মাহফুজা মালেক জেসমিনের মেয়ে নুসরাত আমান অরণী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণিতে ও ছেলে হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের নার্সারিতে পড়ত।
শিশু দুটির পরিবার থেকে প্রাথমিক অবস্থায় জানানো হয়েছিল, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা জানান, মা-বাবার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে বনশ্রীর একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর পর মৃত্যু হয় তাদের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশু দুটির শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে। তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।