স্বামী ও সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় শাহিনুর বেগম
কোনোভাবেই থামছে না শাহিনুর বেগমের কান্না। স্বামী ও সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় তিনি। আজ শনিবার (২২ জুলাই) সকালে দুই ছেলে বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বরিশালের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুরে খবর আসে স্বামী ও এক ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। শুধু শাহিনুর বেগমের বাড়িতেই নয় শোকের মাতম চলছে ভান্ডারিয় উপজেলার আটটি বাড়িতে।
খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির ছত্রকান্দা এলাকায় মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার যাত্রী হওয়ায় তাদের অনেকের স্বজনই দুর্ঘটনাস্থলে ও ঝালকাঠি জেলা হাসপাতালে রয়েছেন। তবে নিহত যাত্রীদের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। স্বজনরা ভীড় জমাচ্ছেন তাদের বাড়িতে শেষ বারের মতো দেখার জন্য।
উল্লেখ্য, সকাল ৯টায় ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে যায় স্মৃতি পরিবহণের একটি বাস। সকাল পৌণে ১০টার দিকে ঝালকাঠির ছত্রকান্দায় পৌঁছালে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে বরিশাল, ঝালকাঠি, রাজাপুর ও ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে নামে। এ পর্যন্ত আট জন নারী, ছয় জন পুরুষ ও তিন শিশুসহ ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে তারা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩০ জন।