যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম (৪০)। পরিবারের দাবি, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে অজ্ঞাত পরিচয় খুনিরা।
আজ রোববার (২৩ জুলাই) উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টানকৃষ্ণনগর গ্রাম থেকে শফিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই ইউনিয়নের টানকৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মহিউদ্দিন ওরফে তারা মোল্লার ছেলে।
পুলিশ খবর পেয়ে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত শফিকুল ইসলামের বড় ভাই আহম্মদ আলী বলেন, ‘আমার ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী। সে পাঁচ মাস আগে দেশে আসে।’
স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তানকে নিয়ে শফিকুল ইসলাম ভৈরবের কমলাপুর এলাকায় কলেজ রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
শফিকুল ইসলাম গতকাল শনিবার ঢাকা যান চিকিৎসার জন্য। ঢাকা থেকে ফিরে তিনি বাড়ি থেকে বের হন বিকেল ৫টায়। রাতে আর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেননি।
নিহত শফিকুল ইসলামের বড় ভাই আও বলেন, ‘শফিকুলের স্ত্রী আমাকে জানালে আমরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করি। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে মানুষের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার ভাইয়ের মরদেহ আমাদের গ্রামের বাড়ির একটি গাছের সাথে ঝুলছে। আমার জানামতে তার কোনো শত্রু থাকার কথা না। আমার ভাইকে যারাই হত্যা করেছে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই।’
নিহত শফিকুল ইসলামের খালাতো ভাই জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘সকালে লোকজন তাঁর মরদেহ গাছে ঝুলতে দেখে আমাদের খবর দেয়। আমরা এসে দেখি তাঁর মরদেহ গাছে ঝুলছে। তিনি আত্মাহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে কেউ হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখে গেছে। কারণ তাঁর অণ্ডকোষ কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর সঠিক বিচার চাই।’
এ বিষয়ে ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা এসে গাছে একটি ঝুলন্ত মরদেহ পেয়েছি। তিনি এখানে থাকতেন না। তিনি ভৈরবের কমলাপুর এলাকায় থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা নয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’