বাংলাদেশ-ভারত রুপিতে বাণিজ্য শুরু
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রুপিতে বাণিজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রুপিতে মূল্য পরিশোধ করা ৩০টি পিকআপ ভ্যানের প্রথম চালান আমদানি হয়েছে ভারত থেকে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আ. জলিল জানান, বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার নিতা কোম্পানি রুপির মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করে পিকআপ ভ্যানগুলো আমদানি করে। ভারতীয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান টাটা মোটরস লিমিটেড পিকআপ ভ্যানগুলো রপ্তানি করে।
এক কোটি ২৪ লাখ রুপিতে ৩০টি পিকআপ ভ্যান আমদানি করা হয়। পিকআপ ভ্যানগুলো বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে প্রতিবেশী দুই দেশ রুপিতে বাণিজ্য শুরুর এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ জুলাই ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশন দুই দেশের বাণিজ্যে রুপি ব্যবহারের ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ভারতে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে আগামী সেপ্টেম্বরে 'টাকা-রুপি কার্ড' চালুর সম্ভাবনার কথা জানান। এই কার্ড দিয়ে দেশে ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে বিল পরিশোধ করা যাবে।
রুপির ব্যবহার দেশের আমদানিকারকদের কিছুটা স্বস্তি দেবে। তাঁরা প্রতিবেশী দেশ থেকে পণ্য কিনতে রুপিতে এলসি খুলতে শুরু করেছেন। ফলে ডলারের ব্যবহার কিছুটা কমবে।
ডলারের ঘাটতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে যাওয়া রোধ করতে সরকার আমদানিবিধি কঠোর করেছে। এক বছর আগের তুলনায় রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২৩ শতাংশ। দুই দেশের মধ্যে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের একটি অংশের মূল্য পরিশোধের সুবিধার্থে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে ভারতে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে।
রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে আসা অর্থের তুলনায় আমদানি মূল্যের পরিমাণ বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আজরুপির মাধ্যমে ভারত থেকে প্রথম চালান আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। রুপিতে পণ্য আমদানি হলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে অনেকাংশে।’