রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন বাতিল
গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় করা মামলায় জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (৩১ জুলাই) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রফিকুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল গাজীপুরের গাছা ও বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রফিকুল ইসলামের জামিন স্থগিত করে চেম্বার আদালত। পাশাপাশি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, গাছা থানার মামলায় রফিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে। এ কারণে জামিন বাতিল করেছেন।
গত ২৯ মার্চ ভবিষ্যতে কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেবেন না– এ শর্তে ঢাকা ও গাজীপুরের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় রফিকুল ইসলামকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। মামলার শুনানি শেষে আদেশে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট, মামলার এজাহার যাচাই-বাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই। তবে, রফিকুল ইসলাম মাদানী যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন বিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন, তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।’
রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ওই বছরের ৮ এপ্রিল শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর নামে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। র্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর গাজীপুরের বাসন, রাজধানীর মতিঝিল ও তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা করা হয়।