পাকিস্তানি সমর্থককে নিয়ে ফেসবুকে ‘ঝড়’
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সমর্থক, পরিচিত মুখ বশির আহমেদের গায়ে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে কয়েকজন ফেসবুকে লিখেছেন, বুধবার মিরপুরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান খেলা শেষে বশির আহমেদের গায়ে বাংলাদেশি পতাকা গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়।
বশির আহমেদ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের আইকন সাপোর্টার হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত। পাকিস্তান ক্রিকেট দল যেখানেই যায়, তিনিও সেখানেই যান খেলা দেখতে। সবার কাছে তিনি বশির চাচা হিসেবে পরিচিত।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তার তাঁর ফেসবুক স্টাটাসের মাধ্যমে এই ছবিগুলো শেয়ার করে প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি মনে করি, বশির আহমেদ যতুটুকু অসম্মানিত হয়েছেন, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি অসম্মানিত হয়েছে আমাদের দেশের পতাকা। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের দামে কেনা পতাকাকে হাস্যস্পদ করেছেন আমার দেশের জাতীয় সংসদের একজন সম্মানিত (!) সদস্য। তিনি ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাহ। ক্রিকেট মাঠের আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ীও ইলিয়াস মোল্লাহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেই আমার ধারণা। ফাইনাল ম্যাচের আগেই এ অপরাধের শাস্তি দেখতে চাই। এবং বিসিবির তরফ থেকে বশির আ্হমেদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।’
ওয়াসির আহমেদ বাবু নামের একজন লিখেছেন, ‘জোর করে কাউকে পতাকা পরিয়ে ক্রেডিট নেওয়া কাপুরুষের কাজ। হোক না পাকিস্তানের আইকন। বাংলাদেশিরা সব সময় আন্তরিক ও সাহসী ভূমিকার জন্য প্রশংসিত। পাকিরা সমগ্র বিশ্বেই নিন্দিত। তাই বলে কি একজনকে আমার দেশের পতাকা তাঁর গায়ে জড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ বলাতে হবে!! এতে আমার দেশের পতাকাই অসম্মানিত হয়েছে।’
রুবেল শিকদার নামে একজন লিখেছেন, ‘আমাদের কখনো হানাদার হওয়ার ইতিহাস নাই।’
কেউ কেউ এই ছবির ঘটনা সত্য না বলে পাল্টা প্রতিবাদ করছেন। তবে একের পর এক ছবিগুলো বিশ্লেষন করে অনেকে বলছেন যে বশির আহমেদকে বাধ্য করা হয়েছে গায়ে পতাকা চাপাতে।
এ ব্যাপারে ফোনে সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগোর চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।