খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে
খাগড়াছড়ি জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পানি কমতে শুরু করে। আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমছে পানি। দীঘিনালা লংগদু সড়কের বেতছড়ি, বড়মেরুং, ছোটমেরুং বাজার এবং দাঙ্গাবাজার এলাকার রাস্তা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় চার দিন পর দীঘিনালা-রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হয়েছে।
অন্যদিকে রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে আটকেপড়া ৪৭৫ পর্যটককে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রহরায় নিয়ে আসা হয়েছে।
দীঘিনালার বোয়ালখালী ও মেরুং ইউনিয়নের মূল সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে, তবে বাড়িঘর এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে। এ দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩৮০ পরিবার এখনও অবস্থান করছে।
মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, তাঁর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকার অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে। মূল সড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও বাড়িঘর পানিবন্দি থাকায় তারা ফিরতে পারেনি।
মেরুংয়ের পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১২০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিতদের মধ্যে রান্না করা খিচুরি ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে খাবার ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
মেরুং ও কবাখালি এলাকার কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে আশ্রিতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে দীঘিনালা সেনা জোন। ত্রাণ বিতরণ করেন জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর নুর নাফিজ ইসলাম। তিনি আগামী সাতদিন বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকার কথা জানান।
এ সময় ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমান, মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি এবং কবাখালি ইউপি চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।