চুলের যত্নে চার হেয়ার প্যাক
স্বাস্থ্যকর এবং মসৃণ চুল বজায় রাখা আমাদের সৌন্দর্যের রুটিনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। তবে পরিবেশ দূষণের কারণে চুল নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনুপযুক্ত যত্নের কারণে চুল পড়া বেড়ে যায়। চুল স্বাভাবিকের থেকে ধীর গতিতে বাড়তে থাকে। এ সব ক্ষতিকর প্রভাব থেকে চুল রক্ষা করতে কিছু হেয়ার মাস্ক রয়েছে। যা প্রাকৃতিকভাবে চুল বৃদ্ধি করতে আপনার সহায়তা করবে। এ সব হেয়ার মাস্ক আপনি বাড়িতে বসেই বানাতে পারবেন।
নারকেল তেল এবং কারি পাতা
নারকেল তেল তার পুষ্টিকর বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য পরিচিত। কারি পাতা চুলের ফলিকলগুলোর জন্য উপকারি। যুগ যুগ ধরে চুলের যত্নে এই দুই উপাদান ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই উপাদানগুলো চুল নরম রাখে। চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। এই মাস্কটি তৈরি করতে, এক কাপ নারকেল তেলে এক মুঠো কারি পাতা দিয়ে গরম করুন। পাতাগুলো কালো না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। এটি আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে মালিশ করুন। সারারাত রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজের রস এবং মধু
পেঁয়াজে সালফার থাকে। যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সহায়তা করে। চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যা চুলের ভিতরে পুষ্টি জোগায়। পেঁয়াজ বেটে রস বের করে নিন। পেঁয়াজের রস এবং মধু সমান ভাবে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে এটি লাগান। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে এটি ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
অ্যালোভেরা এবং ক্যাস্টর অয়েল
অ্যালোভেরা চুল বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য বিখ্যাত। অন্যদিকে ক্যাস্টর অয়েল চুলের ফলিকলগুলোকে শক্তিশালী করে। চুলের ভাঙ্গন রোধ করে। একটি বাটিতে তাজা অ্যালোভেরা জেল এবং ক্যাস্টর অয়েলের সমান পরিমাণে নিয়ে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে নিন। এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মেথি বীজ এবং দই
মেথি বীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ। এটি চুল ভাঙ্গন রোধ করে। চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। দই চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। দুই টেবিল চামচ মেথি বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে বেটে নিন। আধা কাপ দইয়ের সাথে এই পেস্টটি মিশ্রিত করুন। এটি আপনার মাথার ত্বকে প্রয়োগ করুন। ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সূত্র- বোল্ডস্কাই