দুই মন্ত্রীর বক্তব্য বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ : বিএনপি
প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যকে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে মনে করে বিএনপি। আজ রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
মন্ত্রীদের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে এখন হুমকি-ধমকির আশ্রয় নিচ্ছে সরকার।
এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যে মন্তব্য করেছেন, তা রাষ্ট্রের একটি স্বতন্ত্র অঙ্গ হিসেবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর নগ্ন হস্তক্ষেপ। এসব বক্তব্যে আবারও প্রমাণিত হলো, পঁচাত্তরের একদলীয় বাকশাল তার সব আগ্রাসী শক্তি নিয়ে পুনর্জন্ম লাভ করেছে। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক কি এই আওয়ামী শাসনামলে তাঁর বিচারক জীবনে যেসব রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন, সেগুলো কি রবীন্দ্রসংগীত ছিল? না সেগুলো গালিবের গজল ছিল?’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের সমালোচনা করে গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক সেমিনারে বক্তব্য দেন সরকারের দুই মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও আ ক ম মোজাম্মেল হক। প্রধান বিচারপতি তাঁর আসনে থাকতে চাইলে ‘অতিকথন’ বন্ধ করা উচিত বলেও সে সময় এক মন্ত্রী পরামর্শ দেন।
একই সঙ্গে মীর কাসেম আলীর মামলায় আপিল বিভাগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি যেসব মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে ওই মামলায় পুনরায় শুনানি করার আহ্বান জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী।
এসব মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান জানাল বিএনপি।
এ ছাড়া গতকাল রাজধানীর মিরপুরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালের টিকেটপ্রত্যাশীদের পুলিশি লাঠিপেটার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে অভিযোগ করে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততার সুযোগে সরকারদলীয় লোকজনের বাধার কারণে দ্বিতীয় দফায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বিএনপির ৫৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী।